বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়ার অপ্রকাশিত দূর্লভ চিত্রের আলোক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ঘটনার ৩ দিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আজ শেষ দিন ৷
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বেরোবিসাস) আয়োজনে ফটো সাংবাদিক আদর রহমানের তোলা ছবির প্রদর্শনীটি শহীদ আবু সাইদ চত্বর সংলগ্ন প্রধান ফটকের সামনে করা হয়।এই প্রদর্শনী দেখার জন্য সাধারণ মানুষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগ্রহের শেষ নেই। প্রতিদিনই দূরদূড়ান্ত থেকে মানুষ প্রদর্শনি দেখতে আসছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ( ১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় “রিয়েল একাডেমি”প্রায় চল্লিশ জন ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা এই প্রদর্শনি দেখতে আসেন। তাদেরকে সাথে করে নিয়ে আসেন তাদের একাডেমির শিক্ষক বৃন্দ।
আলোকচিত্রে গত ১৬ জুলাইয়ের আন্দোলনের ঘটনা সমূহ দেখানো হয়েছে৷ আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে আন্দোলনের দিন পুলিশ ও ছাত্রলীগ দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম হামলার চিত্র ৷
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
রিয়েল একাডেমির শিক্ষার্থী রাজিয়াতুল মুনিরা বলেন,আবু সাঈদ ভাইকে দেখেছি টিভিতে পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। আমিও আবু সাঈদ ভাইয়ের মতো হতে চাই।অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করতে চাই।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন,আবু সাঈদ ভাই অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। টিভিতে যখন দেখি পুলিশ তাকে গুলি মারছে এবং তার শরীর দিয়ে রক্ত পড়ছে তা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমার আম্মু আমাকে বলেছে তোমাকেও আবু সাঈদ ভাইয়ের মতো হতে হবে। আমারও খুব ইচ্ছা আবু সাঈদ ভাইয়ের মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় বুক পেতে দিব।
শিক্ষার্থী মাহির বলেন, ছবিতে দেখছি অনেক কয়েকজন পুলিশ মিলে আবু সাঈদ ভাইকে লাঠি দিয়ে মারছেন। আমিও আবু সাঈদ ভাইয়ের মতো হতে চাই।
রিয়েল একাডেমির সহকারী পরিচালক বলেন,আমাদের একাডেমির শিক্ষার্থীদের আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখাতে নিয়ে এসেছি। তাদের জানা দরকার বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার ইতিহাস। তাদের এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী থেকে অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে। ছাত্র সমাজ যদি এক হয় তাহলে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে।কোন অন্যায় অবিচার দেখলে যেন তারা বুক চিতিয়ে তার প্রতিরোধ করতে পারে। আমরা সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবু সাঈদ ভাইয়ের জন্য দোয়া করবো। আমরা চাই আমাদের সকল শিক্ষার্থী যেন আবু সাঈদের মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি কন্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারে।