প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৭ প্রস্তাব বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের

প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৭ প্রস্তাব বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার সপ্তাহ পর নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বিকাল ৩টায় এই মতবিনিময় শুরু হয়। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

বিকাল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফের নেতৃত্বে মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক মতবিনিময়ে মিলিত হন। মতবিনিময়কালে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক  প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সাত দফা উপস্থাপন করেন।

দফাগুলো হলো : 

১. প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
ক. নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার : জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগকারীদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। সেজন্য আসনভিত্তিক বিজয়ী সংসদ সদস্যদের বাইরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলসমূহের প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা।
খ. নির্বাচন বিধি সংক্রান্ত সংস্কার: প্রার্থীদের নিজস্ব প্রচারণার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করা। যোগ্য সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করা।

সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/

২. সাংবিধানিক সংস্কার।
ক. বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একচ্ছত্র ক্ষমতা স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেয়। তাই এ ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।
খ. দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা বন্ধ করা।
গ. প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের বিধান করা।
ঘ. সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা।

৩. বিচার ব্যবস্থা: বিচার বিভগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা। বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপমুক্ত রাখার স্বার্থে বিচারপতি নিয়োগ ও বিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা।

৪.  শিক্ষা ব্যবস্থা: শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বিতর্কিত বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা সংযোজন করা।

৫.  পুলিশ ও প্রশাসন : পুলিশ ও প্রশাসনকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদেরকে ব্যবহারের পথ বন্ধ করা।

৬.কুরআন সুন্নাহবিরোধী আইন/নীতি প্রনয়ণ না করা।

৭. হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও আলেম উলামা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে দায়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।

শেয়ার করুন:

Recommended For You