আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের মামলা থেকে খালাস পেয়ে অঝোরে কাঁদলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রায় ঘোষণার সময় মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও আদালতে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মির্জা আব্বাসকে বেকসুর খালাসের রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজের আদালত।
রাজধানীর রমনা থানায় ২০০৭ সালের ১৬ অগাস্ট মামলাটি করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম। এতে অবৈধভাবে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০০৮ সালের ১৬ জুন বিচার শুরু হয়। বিচারে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এ মামলায় দুদকের পক্ষে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। অপরদিকে আব্বাসের পক্ষে ৫ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
অপরদিকে মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের করা অপর একটি মামলা প্রত্যাহারে আবেদন করে দুদক কৌসলী মীর আহমেদ আলী সালাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তাদের খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে পূর্তমন্ত্রী থাকাকালে প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন মির্জা আব্বাস। বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও মাহফুজুল ইসলাম নামের এক সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়মের মাধ্যমে এ প্লট বরাদ্দ দেন।
এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন শাহবাগ থানায় ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই একটি মামলা করেন। পরের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।