শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সহ-সভাপতি রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুদিন আগে সাংগঠনিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সংগঠনটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবলু এই তথ্য জানান। তবে সংগঠনে তার সাধারণ সদস্যপদ থাকবে।
গত ৮ জুন রাজধানীর বনানী ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে আদনান-দোদুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে টেলিপ্যাব। এই কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন রোকেয়া প্রাচী।
এ ব্যাপারে সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল জানান, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে। এক্ষুণি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না।
সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়েছে কি না জানতে যোগাযোগ করা হলে রোকেয়া প্রাচী মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রোকেয়া প্রাচী। দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আগের রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে যান।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে জয় পরাজয় নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে দুখাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে তার অভিষেক হয়।
তার অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলো। প্রাচী অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি নাটক, কাহিনীচিত্র ও টেলিছবি নির্মাণ করেছেন।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তালিকা, স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, রুবিনা, আমেনা ও ফুলকির গল্প। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সহিদ রহমানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত কাহিনীচিত্র কবি ও কবিতা পরিচালনা করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন, সেটিই ছিল তার প্রথম পরিচালনা, এরপর তিনি লুৎফুন্নেসা ও বায়ান্নর মিছিলে নামে আরও দুটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন।