ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা শহরের রাস্তাঘাট। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ। রোববার (২৫ আগস্ট) ভোর থেকেই ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এর আগে, শনিবার রাতেও বৃষ্টিপাত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিতে নগরীর খালিশপুর মুজগুন্নি, বাস্তুহারা কলোনী, হাউজিং এলাকা, ফুলবাড়ি গেট, রেলিগেট, মহেশ্বরপাশা, দৌলতপুর, নতুন রাস্তা মোড়, আলমনগর, নেভি চেকপোস্ট, রায়েরমহল, বয়রা বাজার, গল্লামারি, গোবরচাকা নবীনগর, ময়লাপোতা, রয়েল মোড়, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মহির বাড়ি খালপাড়, রূপসা ঘাট, নতুন বাজারসহ নগরীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সড়ক ও নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গিয়েছে।
এদিকে, সড়কে জলাবদ্ধতা থাকায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। সড়কে যানবাহনের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সরজমিনে দেখা যায়, নগরীর রয়েল মোড়, বাইতিপাড়া সড়ক, সাতরাস্তা, বড় মির্জাপুর, টুটপাড়া এলাকায় সড়ক তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহন নিয়ে দুর্ভোগে পড়ে চালকরা। অনেক গাড়ির ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করায় বিকল হয়েছে। অনেক গাড়ি ঠেলে নিয়েও যেতে দেখা যায়। ফুটপাত দিয়েও অনেককে হালকা যানবাহন চালাতে দেখা যায়। খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, আজ রবিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে আজ রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত আরও ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে সিটি করপোরেশন গত ছয় বছরে প্রায় ৫০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূর নদসহ সাতটি খাল খনন ও ড্রেনে সংস্কার কাজ করলেও ভোগান্তি কমেনি। ধীরগতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ ও নিয়মিত পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে নোংরা পানিতে প্লাবিত হয় চারপাশ।