প্রতিবন্ধী স্কুল এমপিওভুক্তি করণের এক দফা দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের দিকে পদযাত্রার উদ্দেশ্যে শাহবাগে জমায়েত হতে দেখা যায় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা ‘দাবি মোদের একটাই, অনলাইনে আবেদনকৃত সকল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিও চাই’ ব্যানারে এই জমায়েত হন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর মিন্টো রোডের প্রবেশমুখে তারা অবস্থান নেন। এর আগে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বাধায় আটকে যান। পরে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রেস সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবির কথা জানান। শিক্ষকরা দাবি আদায়ে লিখিত আশ্বাস না পাওয়ায় সড়কে অবস্থান নেন।
এসময় ‘প্রতিবন্ধী শিক্ষক কেন থাকবে বঞ্চিত? এখন চাই এমপিওকরণের গ্যারান্টি’ ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য নয়, প্রতিবন্ধী শিক্ষকিদের অধিকার চাই’ ‘এক দফা এক দাবি, এমপিও চাই এখনই’ সহ নানা স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
পদযাত্রায় আসা প্রধান শিক্ষক সেলিম বাচ্চু বলেন, আমাদের দাবি একটাই, আমাদের স্বীকৃতি দিতে হবে ও এমপিও ভুক্ত করতে হবে। আমরা প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করলেও আমাদের পরিবার চলে না। আমাদের দিকে কেও তাকায় না।
আমাদের সঙ্গে কথা বললেই সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বুঝবেন, আমরা কতটা অসহায় অবস্থায় আছি উল্লেখ করে এই শিক্ষক আরও বলেন, আমরা যেমন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছি তেমনি সরকারেরও উচিৎ আমাদের দিকটা দেখা। আমরা যেনো ফ্যামিলি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি সে ব্যবস্থাটা করা।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
এ বিষয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আহাদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। তখন আমরা অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেই তালিকা এখনও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আমলে নেয় নাই। বিগত সরকার আমাদের বিভিন্ন সময় আশ্বস্ত করেছিল। সে সময় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অডিট করেছিল টাকার বিনিময়ে। সমাজকল্যাণ অধিদফতরের একটা সিন্ডিকেট আছে। যারা অডিটের নামে টাকা আদায় করে আসছিল। তারা প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা দাবি করে। সবার পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আহাদুল আরও বলেন, যেহেতু এখন সুশাসন প্রণয়নের সরকার এসেছে। দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে। তাই আমরা সারা দেশের শিক্ষকরা ২০০৯ ও ২০১৯ শিক্ষা নীতিমালার আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের দাবি আদায়ে জড়ো হয়েছি। আশা করছি তিনি আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন।