ভারতের পশ্চিম বঙ্গের ভারি বৃষ্টির কারনে রাজশাহীর পদ্মা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে প্লাবনের ঝুঁকি বেড়েছে। এই অঞ্চলে নতুন করে বন্যার শঙ্কা আশঙ্কা করেছেন স্থাানীয়রা।
শনিবার নদীর তীরবর্তী স্থানীয়রা বলছেন, এই অঞ্চলের পদ্মার পানি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে গত ১৭ আগস্ট পদ্মার পানির লেভেল ছিল ১৬.৫৪ সেন্টিমিটার। তারপর থেকে নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছিল এবং গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত ক্রমাগত কমতে থাকে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পানি আবারও বৃদ্ধি শুরু করেছে। বিকেল ৩টায় পদ্মার পানি ছিল ১৬.২৩ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে স্থানীয়দের মধ্যে নতুনভাবে বন্যার শঙ্কা করছেন। বর্তমানে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ২.২১ সেঃ মিঃ নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এই এলাকার পদ্মা নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৮.০৫ সেন্টিমিটার। গত ২০১৩ সালে একবার অতিক্রম করে পদ্মার পানি আর বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির ফলে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই। পদ্মার বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮.০৫ মিটার।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
গত ২৩ আগস্ট রাজশাহী অঞ্চলের বড় নদীরগুলোর মধ্যে মহানন্দা নদীর ডেঞ্জর লেভেল ২০.৫৫ মিটার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টায় এ নদীর পানির লেভেল ছিল ১৮.৫০ মিটার। আর সকাল ৬টায় ছিল ১৮.৪৬ মিটার। অপরদিকে, পুনর্ভবা নদীর ডেঞ্জার লেভেল ২১.৫৫ মিটার। এ নদীতেও শুক্রবার ১২ ঘন্টায় ৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় এ নদীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পয়েন্টে পানির লেভেল ছিল ১৮.৫৮ মিটার। একই ভাবে বেড়েছে আত্রাই নদীর পানিও। নাটোরের সিংড়া পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টায় আত্রাই নদীর পানির লেভেল ছিল ১০.৮১ মিটার। এ নদীর ডেঞ্জার লেভেল ১২.২০ মিটার। যা বিপদসীমার ১.৩৯ মিটার নিচে। আর বারনই নদীর ডেঞ্জার লেভেল ১৩.৯৬ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ নদীর পানির লেভেল ছিল ১২.৩০ মিটার। যা বিপদসীমার ১.৬৬ মিটার নিচে।
উজানের ভারি বৃষ্টির কারণে রাজশাহী শহর, পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় উজানের ভারি বৃষ্টিার পানি নেমে আসায় নদীর পানি বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলের খাল গুলো উপচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রাস্তাঘাট ও কালভাট (ব্রীজ) ভেসে গেছে। বিশেষ করে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বেশী কিছু খাড়ি উপচে পড়ে আশাপাশের মাঠগুলো প্লাবিত হয়েছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।