ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবর‘ স্লোগান নিয়ে প্রশ্নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সমবেত হয়ে তারা একটা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করে।
গতকাল (২১ আগস্ট) রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সংবর্ত-৩৬ পেইজ থেকে ‘জানতে চাই’ শিরোনামে একটি লাইভ সেশনের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (ইবি) এর সমন্বয়ক এবং সহ-সমন্বয়কবৃন্দ। প্রধান অতিথি ছিলেন ইবি সমন্বয়ক- এস এম সুইট। তাছাড়াও যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, লাইভ সেশনটির এক পর্যায়ে সঞ্চালক জান্নাত মিম, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিনে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবর’ স্লোগান কেন দেওয়া হল এ বিষয়ে সমন্বয়কদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন৷ এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের উস্কানিমূলক ও পক্ষপাত অবলম্বন করে প্রশ্ন করা হয় বলে মনে করেন তারা। প্রতিবাদস্বরূপ আজ বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকবীর নিয়ে হিংসামূলক, রাজনৈতিক কালিমা লেপনের প্রতিবাদে ‘তাকবীর ও বিক্ষোভ মিছিল’ আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ এটি কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়। ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে স্বাধীন করেছে। বিজয়ের দিন সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ স্লোগানটি দেয়া হয়। কিন্তু এটিকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সকলের একটিই পরিচয়, আমরা সবাই মানুষ। স্বৈরাচারের পতন হলেও তার দোসররা রয়ে গেছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে ইস্যু করে তারা দেশকে সাম্প্রদায়িক করতে চাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জান্নাত মীম নামে একজন ‘লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবর’ স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কথা বলেছে। আমরা সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ গড়ব। আর এতে যারা বাঁধা দিবে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
লাইভ সেশন নিয়ে সমন্বয়কদের মতামত , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাইয়ের দিনগুলো কেমন ছিলো এবং ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে একটি লাইভ সেশনের আয়োজন করা হয়। তবে লাইভে মূল বিষয় এড়িয়ে ব্যক্তিগত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। তারা আরও বলেন, দলীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। তারা আমাদের মধ্যে বিতর্ক ও বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, নতুন করে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তাদেরকেও শক্তভাবে দমন করা হবে।
সঞ্চালক জান্নাত মিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, গতকাল লাইভে ‘তাকবির’ নিয়ে প্রশ্ন করার পর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছি, ভুল ত্রুটির জন্য অনুতপ্ত। দয়া করে, কেউ মনে কষ্ট নিবেন না। প্রশ্নটা আমার ব্যক্তিগত ছিলনা, আমি কমেন্ট বক্স থেকে প্রশ্নটা করেছিলাম।