রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় ফলের দোকানি ফরিদ শেখকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। নিহত যুবক ফরিদ শেখের পিতা সুলতান মিয়ার জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান আদালত।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।
মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন— সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের নেতা রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, আবুল হাসান। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন চলাকালীন বিকাল সাড়ে ৩টায় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে মারাত্মক জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। গুলিটি ফরিদ শেখের পেটের ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান তিনি।