কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সাংবাদিকসহ আ’লীগের ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার উত্তর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাঈদীন নাহী অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ওসি কুতুবদিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ৬১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ তাহের, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ও কুতুবদিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাভেজ কামাল লিটন (এস,কে, লিটন) কুতুবীর নামও রয়েছে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুতুবদিয়ায় নোঙর প্রতীকের প্রধান নির্বাচনি সমন্বয়ক ও এজেন্ট ছিলেন মামলার বাদী। ৪ জানুয়ারি ধুরুং স্টেডিয়ামে নোঙর প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ বাদশার নির্বাচনের জনসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের নির্দেশে দলীয় কেডার ও নেতা-কর্মীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করে। প্যান্ডেল, চেয়ার, মাইক ভাংচুরসহ সাধারণ মানুষকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে নোঙর প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও স্বাক্ষীদের হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এসময় বাদি পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। ওদিন রাত দশটার দিকে আসামিরা উপজেলা গেইটস্থ নোঙর প্রতীকের প্রধান এজেন্ট বাদির কার্যালয়ে চেয়ার- টেবিল ভাঙচুর করে তান্ডব চালায়। লুটপাট করে নিয়ে যায় ল্যাপটপ,প্রিন্টার, আলমিরা,সোলার প্যানেল,ব্যাটারিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। পরে কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয় গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাবেক এমপির নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির নেতৃত্বে ৪০/৫০জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হাতে দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে কৈয়ারবিল সমিতির রোড়স্থ বাদির নির্বাচনী অফিসে হামলা করে। ফাঁকা গুলি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট চালানো হয়।
বাদীর আইনজীবী এডভোকেট ফিরোজ আহমদ জানান, বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ওসি কুতুবদিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।