মোহাম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছেন।
মোহাম্মদ নাহিদের নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাজার মনিটরিং থেকে শুরু করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি, রাতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে পাহারা দেওয়া, বৃক্ষরোপণ সহ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। গত কয়েকদিন ধরে এই কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা করে আসছে তারা । মোহাম্মদপুর মূলত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে কাজ করেছেন তারা।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা আরিফুল হাসান আয়ান জানান – মোহাম্মদপুরে যানজট নিরসনে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টাফিকের দায়িত্ব পালন করা সকলকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন ও জানান তিনি।
বাজার মনিটরিং এর দায়িত্বে থাকা নাফিউ ইসলাম জানান – মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে যে সমস্যার সম্মুখীন হন তা হলো বাজারের কোন দোকানেই নেই কোন ন্যায্য মূল্যের তালিকা, বাজারে রয়েছে সিন্ডিকেট এর প্রভাব। এই সমস্যার সমাধানে তিনি বাজারে একটি স্বীকৃত মূল্য তালিকা টানিয়ে দেন যাতে করে কোন ভোক্তা প্রতারিত না হয়। এবং সকলকে তিনি এ ব্যাপারে সচেতন করতে সক্ষম হন।
আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করেন সাদিয়া মিমি তানজিলা। তার তত্ত্বাবধানে সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মোহাম্মদপুর ফিরে পান এলাকাবাসী। তার অধীনে দশজন প্রতিনিয়ত মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত ছিল।
আরিফা আক্তার লাইমা বলেন, মোহাম্মদপুরের কৃতি সন্তান, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সৈকত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেন। তার স্মরণে এলাকায় একটি পাঠাগার তৈরীর প্রস্তাব রাখেন তিনি এবং দেয়ালে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
শাফিন শাহরিয়ার বলেন,গত এক সপ্তাহে রাতে এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় তার তত্ত্বাবধানে ১৫ জন মোহাম্মদপুরে অবস্থানরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এলাকায় পাহারার কাজ করত। এবং তারা সফলভাবে এলাকার মানুষের যেন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন।