ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এ ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে পুরো দেশ; সেখানকার নারীরা রাজপথে নেমেছেন বিচারের দাবিতে।
এ ঘটনায় সরব রয়েছেন টালিউড-বলিউডের তারকারাও। অপরাধীদের শাস্তিসহ ভারতে মেয়েদের নিরাপত্তা চেয়ে বিভিন্ন ভাষায় মুখ খুলেছেন তারা। কেউ কেউ গর্জে উঠেছেন রাজপথেও; বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন টালিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী, পার্নো মিত্র ও মিমি চক্রবর্তীসহ ছোট পর্দার তারকারা।
আরজি করে চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার রাতে রাস্তা দখলে ছিল টালিউডের একাংশ। এ সময় সাধারণদের সঙ্গে বিচার চাই স্লোগানে কণ্ঠ মেলান তারা।
আরজি কর কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সরব হলেও টালিউড তারকারা তেমন গর্জে ওঠেননি বলে দাবি ছিল অনেকের। কেউ মনে করতেন রাজনৈতিক চাপে নাকি রাস্তায় জমায়েতও হবেন না তারা। কিন্তু সেই ধারণা উগরে দিলেন সেই তারকারাই।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিল ও জমায়েতে অংশ নিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় শুভশ্রী, পার্নো ও অরিন্দমকে। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তও। অন্যদিকে যাদবপুরের জমায়েতে অংশ নেন অভিনেতা অনিন্দ্য চ্যাটার্জি। তিনি একাধিক ছবি ভিডিও পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে।
বাদ যাননি যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তাকে এদিন মিছিল থেকে হাততালি দিয়ে স্লোগান তুলতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে তা প্রকাশও করেন।
অন্যদিকে ঋদ্ধি সেনও জমায়েতে অংশ নেন। সেখানকার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এই শুভ রাতে ভালো হয়ে থেকো না। রাগ দেখাও, ক্ষোভ দেখাও। এই মৃতপ্রায় আলোতে গর্জে ওঠো অন্ধকারের বিরুদ্ধে।’
ছোট পর্দার একাধিক তারকারাও এদিন অংশ নিয়েছিলেন জমায়েতে। নিম ফুলের মধু ধারাবাহিক খ্যাত তনুশ্রী গোস্বামী, অনুরাগের ছোঁয়ার কাকিয়া তথা সায়ন্তনী মল্লিক, দিব্যজ্যোতি দত্ত, তৃণা সাহা, ঋতব্রত মুখার্জিকেও পথে নামতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। জানা যায়, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর তারই প্রতিবাদ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ আগস্ট অবস্থান কর্মসূচি করেন নারীরা। যোগ দেন পুরুষরাও। পশ্চিমবঙ্গের গন্ডি ছাড়িয়ে বেঙ্গালুরু, মুম্বাইতেও চলে জমায়েত। আরজি কর হাসপাতালেও চলে ভাঙচুর ও ধস্তাধস্তি।