গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। এ নিয়ে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ২১ জন শনিবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ জন ভর্তি হয়েছেন।
এবছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪১৭ জন। এ ছাড়া এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ডেঙ্গু নিয়ে সবাইকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
তিনি বলেন, বৃষ্টি থামার পর মশা বাড়ে। জমে থাকা পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা জন্মায়। এ সময়টাতে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
গত বছর চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। এই সময়ে ১০৭ জন মারা যান। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৮৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন থেকে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হয়; সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীদের ৬০ শতাংশ পাঁচটি এলাকায় বাস করে, যেগুলোকে গবেষকরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এলাকাগুলো হলো- বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং ও বায়েজিদ বোস্তামী।
এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে গবেষণায় দেখা গেছে, গতবছর ৭৫ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী ডেঙ্গু ২ সেরোটাইপে সংক্রমিত হয়েছেন। ডেঙ্গু ১ সেরোটাইপে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ শতাংশ রোগী এবং ডেঙ্গু ৩ সেরোটাইপে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ শতাংশ। তবে ডেঙ্গুর চারটি ধরনের (সেরোটাইপ) সর্বশেষ ধরন ডেঙ্গু ৪ সেরোটাইপ কোনো রোগীর মধ্যে পাওয়া যায়নি।