
সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, খুনের প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বরগুনা জেলা শহরের টাউন হল চত্ত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে, জাস্টিস জাস্টিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস, দিয়েছি তো রক্ত আরও দিবো রক্ত, স্বৈরাচারের গতিতে আগুন জ্বালো একসাথে, জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো, বুকের ভেতর অনেক ঝড়; বুক পেতেছি গুলি কর, রক্তে আগুন লেগেছে লেগেছে, অন্তর যায় জ্বলি, রেমিটেন্সের কেনা গুলি নিচ্ছে কেড়ে ন্যায্য বুলি, কোটা সংস্কার করতে যেয়ে সোনার ছেলেরা হল বলি, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ্য সাঈদ ঘরে ঘরে, লাশের জন্য কত কোটা?, ওরা আমাদের জানাজা পড়তে দিল না, বর্বরতার বিচার চাই, এককভাবে আমি শুধু একটা বিন্দু একসাথে আমরা বিশাল সিন্ধু এই সকল ভিন্ন ভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
বরগুনা সরকারি কলেজ রোড থেকে শনিবার ১০টার দিকে মুশলধারের বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের পাশাপাশি বিক্ষোভে অনেক অভিভাবককে যোগ দিতে দেখা গেছে। এসময় মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বর। আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে শিক্ষার্থীরা বরগুনা টাউন হল চত্বরে নির্মিত স্বাধীনতা মু্রালের পাদদেশে অবস্থান ধর্মঘট নেন।
কোটাবৈষম্য বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বরগুনায় বৃষ্টির মধ্যেই চালিয়েছে ছাত্র-জনতার গণমিছিল। হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের টাউন হল চত্বর মুখরিত করছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেয় অভিভাবকরাও। বেলা বারোটার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন নতুন শিক্ষার্থী বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে গোটা চত্বর। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক মাইনুল হাসান রাসেল, অভিভাবক আবু হানিফ মাতুব্বর, সমন্বয়ক মুঈদ হাসান, মীর নিলয়, সাজ্জাদ হোসেন আশিক, রওজা ইসলাম তৌফিক, আনিকা আক্তার, জুমান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম রেশান, সাজ্জাদ হোসেন আশিকসহ কোটা বিরোধী নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ তাদের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, আলেম-ওলামা, শ্রমিক, অভিভাবকসহ বরগুনার সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। বিক্ষোভ মিছিলে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য।
এদিকে টাউন হল মোড়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিলেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের কাউকে এই এলাকায় অবস্থান করতে দেখা যায়নি৷ পরবর্তী কর্মসূচিতে সকলকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে বেলা দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান ধর্মঘট সমাপ্ত করেন।