রেমিট্যান্স ১মাসে কমলো সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা, ডলার বিক্রি ১২৫ টাকা

রেমিট্যান্স ১মাসে কমলো সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা, ডলার বিক্রি ১২৫ টাকা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার।

নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের রেমিট্যান্সের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা প্রকাশ করেনি। বিকেলে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হকের কাছে রেমিট্যান্সের তথ্য জানতে চাইলে বলেন, এখনো প্রতিবেদন কমপ্লিট হয়নি। কাজ চলছে, কমপ্লিট হলে জানানো হবে। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রতিবেদন প্রকাশ না করে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু জুলাই মাসে কত ডলার এসেছে তা হোয়াটসঅ্যাপে দেন।

মুখপাত্র জানান, জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। আগের বছর জুলাই মাসে যা ছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে,  গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস (২০২৩ সালের) জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে আছে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/

এদিকে খোলাবাজারে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার দাম সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা বেঁধে দিলেও মানি এক্সচেঞ্জ তা মানছে না।চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই ১২০-১২১ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫ টাকায় ডলার বিক্রি শুরু করে, এখনো সেই দামে বিক্রি করছে। এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করে দেওয়া আছে খোলাবাজারে ১১৯ টাকা বেশি দরে ডলার বিক্রয় করা যাবে না। গত কয়েক মাস ধরে এ নির্দেশনা বলবৎ আছে। এ সময় ১১৯-১২০ টাকা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ও ইন্টারনেট বন্ধের কারণে প্রবাসী আয় দেশে আসা দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় কমে অর্ধেকে নামার খবরে ১১৯ টাকা থেকে খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠে ১১৫ টাকা।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১১৯ টাকা দরে ডলার বিক্রির বিষয়টি আবার স্মরণ করিয়ে দেয়। এরপর মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় ১১৯ টাকা দরে ডলার বিক্রির বিষয়টি। কিন্তু তাতে কোনো কাজই হয়নি। খোলাবাজারে ১২৫ টাকা দরে ডলার বিক্রি হচ্ছে।

খোলাবাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অস্থিরতা সুযোগ নিয়ে ডলারের বেশি দাম নিচ্ছে বলে স্বীকার করেন মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

তারা বলেন, যারা বেশি দামে বিক্রি করছেন, তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

তারা এও বলেন, খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতাদের ডলারের উৎস প্রবাসীরা। তারা এডি ব্যাংকের মতো ডলার পায় না, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে থেকে পায় না। তাদের কাছে প্রবাসী আয়ের উৎস সংকট। এই কারণে কোনো সংকট হলে আমরা আগে তার মুখোমুখি হই। এখনো তাই হচ্ছে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You