চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। তবে শুরু থেকেই মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও ফের ধীরগতিতে চলছে ব্রডব্রান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট।
কম গতির ফলে কোনো কিছু ডাউনলোড করতে গেলে চরম বিরক্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ভিপিএন ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঢোকা গেলেও ধীরগতির কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে নাজেহাল হতে হচ্ছে, পাশাপাশি মেসেজ পাঠানোর পরও ডেলিভারির জন্য বসে থাকতে হচ্ছে। তাই অল্প কিছু সেটিংসের পরিবর্তন ও কার্যক্রমের মাধ্যমেই এই সমস্যার কিছুটা সমাধান করা সম্ভব।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড বাড়াবেন যেভাবে –
স্মার্টফোনটি বন্ধ করে পুনঃচালু করুন। এটি হলো সবচেয়ে সহজ উপায়। করোনাকালে দেখা গিয়েছে ফোরজিতে-এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেও ফোনে ইন্টারনেটের স্পিড টুজির মতো। রিস্টার্ট করার ফলে আধা ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা ইন্টারনেট স্পিড ঠিকঠাক থাকবে। ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করুন। ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করলে এটি স্পিড কে গতিশীল করতে অনেক সহায়তা করবে। অর্থাৎ আপনার ফোনটি যদি ৪জি হওয়া সত্ত্বেও ইন্টারনেট স্পিড ৩জি হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রথমে নেটওয়ার্ক সেটিংস এ গিয়ে অপশন সিলেক্ট করুন অতঃপর ৩জি অপশন সিলেক্ট করে নিন। আশা করা যায়, এতে করে ইন্টারনেট স্পিড অনেকক্ষণ থাকবে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
অটোমেটিক আপডেট বন্ধ করুন। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হলেই সঙ্গে সঙ্গে এতে থাকা কিছু অ্যাপ আপডেট হতে শুরু করে। যার ফলে ইন্টারনেটের ব্রাউজিং স্পিড কমে যায়। এটি বন্ধ করতে না পারলে কখনো কখনো অযথা ইন্টারনেট খরচ হতে থাকে। মোবাইলের স্টোরেজের অপ্রয়োজনীয় ডেটা ডিলিট করুন। স্টোরেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ইন্টারনেটের স্পিডও বাড়বে। মোবাইলের ‘ক্যাশড ডাটা’ ক্লিয়ার করুন। কারণ এগুলো শুধু মোবাইলের জায়গা নষ্ট করে না বরং আপনার মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপকেও স্লো করে দেয়।
ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করে এমন কিছু অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে। এসব অ্যাপের ব্যবহারেও ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো সম্ভব। তাছাড়া অনেক সময় ইন্টারনেট ব্রাউজার পরিবর্তন করেও দেখা যায় ইন্টারনেট স্পিড বেড়ে গেছে। তবে একেবারে তড়িৎ সমাধান পেতে মোবাইলের ফ্লাইট মোড অন করে, আবার অফ করলে ইন্টারনেট গতির পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। এতে নেটওয়ার্ক কানেকশন পুনরায় সেটআপ হয়, ফলে স্পিড বাড়তে পারে।