ডলারের দাম বেড়ে ১২৪ টাকা

ডলারের দাম বেড়ে ১২৪ টাকা

স্থিতিশীল থাকা ডলারের দর এক দিনের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আগে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছিল ১২০ টাকা। ব্যাংকগুলোও রেমিট্যান্স কেনায় দর বাড়িয়ে ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে। এর আগে যা ১১৭ টাকা ছিল। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) খোলাবাজারে দাম বেড়ে ১২৪ টাকা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি মাসের জুলাইয়ে   রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির কথা বলে প্রতিবাদ হিসাবে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করছেন অনেক প্রবাসী। ফ‌লে রে‌মিট্যান্স প্রবাহ ক‌মে গে‌ছে। যার প্রভাব প‌ড়ে‌ছে খোলা বাজা‌রে।

যে কারণে একদিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। এখন এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৪ টাকা ২০ পয়সা। ‌গত রোববার ও সোমবারও খোলাবাজারে ডলার ১২১ থে‌কে ১২২ টাকায় বি‌ক্রি হ‌য়ে‌ছে।

সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/

বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে গত ৮ মে ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ডলারের দর এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে মধ্যবর্তী দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ফলে দুই মাসের বেশি সময় ধরে ডলারের দর ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। এখন এটা বাড়তে শুরু ক‌রে‌ছে।

গত মে ও জুন মাসের পর চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেকর্ড রেমিট্যান্স আসছিল। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিন দিনের সাধারণ ছুটিসহ ৫ দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। এর পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ থেকে ২৮ জুলাই ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মানে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। এর আগে ১ থেকে ১৮ জুলাই এসেছিল ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মানে প্রথম ১৮ দিনে দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। শুরুর ১৮ দিনের ধারা বজায় থাকলে জুলাই মাসে ২৪৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসত।

ডলারের দর বাড়ানোর পর গত মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার এবং জুন মাসে ২৫৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। পরপর ওই দুই মাসের রেমিট্যান্স ছিল এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনার প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালের জুলাইতে ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। মূলত ওই সময় করোনার লকডাউনের কারণে হুন্ডি প্রায় বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রচুর রেমিট্যান্স আসে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You