চলতি সপ্তাহে কারফিউ শিথিলের দ্বিতীয় দিনেও টাকা জমা দেয়ার থেকে গ্রাহকদের টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে ব্যাংকগুলোতে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি ব্যাংক ঘুরে দেখা যায়, টাকা জমা দেয়ার থেকে গ্রাহকদের সিংহভাগই এসেছেন টাকা তুলতে। অনেকের মধ্যে দেশের আগামী অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছে শঙ্কা। তাই হাতে নগদ টাকা রাখতে চাচ্ছেন তারা।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
রাজধানীর উত্তর বাড্ডা ওয়ান ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছিলেন নাজমা বেগম। তিনি বলেন, এবারের সংকটকালীন সময়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি- হাতে টাকা না থাকলে কী বিপদে পড়তে হয়। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল। কিন্তু ইন্টারনেট এবং ব্যাংক বন্ধ থাকায় রীতিমতো অভাবের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। তাই টাকা তুলে নিজের হাতে রাখছি। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্রাঞ্চে টাকা তুলতে আসা আরেক গ্রাহক বলেন, অনেকে বলছেন- সামনে আবারও এ ধরণের সংকট দেখা দিতে পারে। তাই আগে থেকে টাকা তুলে হাতে রাখছি।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যেও কাজ করছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদ্মা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর যে সব এলাকায় বড় ধরনের ঝামেলা হয়েছে সেখানকার ভল্ট থেকে ক্যাশ সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে কিছু ব্যাংক।আবার গ্রাহকরা টাকা তুলে নেয়ায় ভল্টের ওপরেও চাপ কমছে।
এ ব্যাপারে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকাকালীন অবস্থায় ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে টাকা জমার দেয়ার পরিমাণ খুবই কম। বুধবারের (২৪ জুলাই) মতো আজও বেশিরভাগ মানুষ হয় বিল জমা দিতে এসেছেন, না হলে টাকা তুলতে এসেছেন।