রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী হল ছেড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটে ১৭ জুলাই থেকে হল বন্ধের ঘোষণা ছিল। তবে বিভিন্ন কারণে অনেকে যেতে পারে নি। তাদের সকালের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ কারো সমস্যা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে প্রায় সব শিক্ষার্থীই হল ছেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি আবাসিক ছাত্র হল ও ৬টি ছাত্রী হল রয়েছে। এতে প্রায় ১১ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৭ জুলাই এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ১৮ জুলাই দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ১৯ জুলাই সকাল পর্যন্ত হল খোলা রাখা হয়। এখন পর্যন্ত হলগুলো থেকে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী চলে গেছেন।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীরা দিনপ্যাপী শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। তবে রাজশাহী নগরীর বাস ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সংলগ্ন এলাকায় কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা নেই। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে, গত ১৮ জুলাই সকাল ১০টা-সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবরোধ করে রাখেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার পর আন্দোলনকারী অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে ফিরলেও একটি অংশ অবরোধ চালিয়ে যান। এ সময় প্রশাসন ভবনের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টায় উপাচার্যের নির্দেশে ক্যাম্পাসে অভিযান চালায় পুলিশ। ফলে ছত্রভঙ্গ হন অবরোধকারীরা। অভিযানকালে ফাঁকা সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়রশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।