ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পাঁচ সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাবির ভিসি চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ দুই শিক্ষার্থীসহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত পাঁচ সাংবাদিক।
ঢামেক সূত্র জানিয়েছে, আহত ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর পায়ে ছররা গুলির অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আসা আহতের সংখ্যাও বাড়ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গায়েবানা জানাজা শেষে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কফিন মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে দুইদিক থেকে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
প্রথমে পুলিশের বাধায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়তে ব্যর্থ হন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়েন তারা। জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করলে একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা আবার সূর্য সেন হলের সামনে এসে জড়ো হন। এরপর ঘণ্টাখানেক পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলে। পুলিশ সদস্যরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সামনে অবস্থান নেন।
পুলিশের সঙ্গে টিকতে না পেরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই এলাকার হলগুলোর ভেতরে চলে যান শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে সূর্যসেন হলের সামনে এসে অবস্থান নেয় পুলিশ। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ বন্ধ করে পুলিশ।
পরে হলগুলো থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ের দিকে চলে যান। সেখানে তারা অবস্থান নিলে পুলিশ আবারও তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, বর্তমানে ছয় সাংবাদিক ও দুই শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সকাল থেকে অন্তত ৩০ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।