রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সেল থেকে ২ ট্রাঙ্ক অস্ত্র ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের কক্ষ থেকে পিস্তল উদ্ধার করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তা পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকা, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু হলে হামলা চালায়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে এই আন্দোলন করছি। নিজেদের কক্ষ অস্ত্রের আড়ত বানিয়ছে ছাত্রলীগ। এগুলো দিয়েই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে বহিষ্কার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বিকাল ৩টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে জড়ো হন তারা। পরে হেলমেট পড়া একটি দল বঙ্গবন্ধু হলে ঢুকে ৭-৮টি বাইকে আগুন দিয়ে বেরিয়ে যান। আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের স্টেশন বাজারে কিছুক্ষণ রেল অবরোধ করে ফের শহিদ মিনারে যান। এরপর বিক্ষুব্ধ কিছু শিক্ষার্থী আবারও বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের কক্ষ ভাঙচুর করে পিস্তল ও রামদা-সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে উদ্ধারকৃত অস্ত্র জমা দিয়ে হলে ফেরেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দাবি জানান। এগুলো হল- অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার ও শাস্তি, হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত, রাতে প্রাধ্যক্ষদের হলে অবস্থান নিশ্চিত করা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের মিটিং শেষে হলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করব। অস্ত্রধারী নেতা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।