নড়াইলের চাঞ্চল্যকর ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় মিন্টু শেখ (৫২) নামের একজন কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে নড়াইলের দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত মিন্টু শেখ কালিয়া উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের ইউনুছ শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যার পরে আসামি জরিনা বেগম ও মিনি বেগম, ফিরোজ শেখের স্ত্রী লিপি বেগম কে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা এসে মারপিট থামায় এবং মীমাংসার কথা বলে লিপি বেগম কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু আসামি পক্ষের লোকজন মীমাংসা না করে একই বছরের ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফিরোজ শেখের বাড়িতে যান মিন্টু শেখ। পরে ফিরোজ শেখকে হত্যার উদ্দেশে লোহার শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন মিন্টু শেখ। এছাড়া অন্যান্য আসামিরা ফিরোজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি মিন্টু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের বিনাশ্রম দন্ডের আদেশ দেন এবং অপর চারজন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাসের আদেশ দেন আদালত।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমদাদুল ইসলাম ইমদাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।