লক্ষ্মীপুরে ড্রাগন চাষ, চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য জেলায়ও

লক্ষ্মীপুরে ড্রাগন চাষ, চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য জেলায়ও
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী বেষ্টিত ডা. বারেক এলাকার ড্রাগন ফল চাষ করে নতুন সম্ভাবনার দ্বার তৈরি করেছেন মাজহারুল ইসলাম নাঈম নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা শেষ করে চাকরির আশায় বসে না থেকে ড্রাগনের চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে উপজেলার অনেকেই এখন ড্রাগন ফল চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি অধিদফতর বলছে, অন্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন ফল চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেক শিক্ষিত ও বেকার যুবক এগিয়ে আসছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খেতের চারদিকে সবুজের সমারোহ। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য ড্রাগন ফল গাছ। গাছে সবুজ পাতার মাঝে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ ফল। ড্রাগন ফল মানেই ভিন্ন আমেজের রঙিন রসালো ফল।
পরিপাটি এই বাগানটি গড়ে তুলেছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মাজহারুল ইসলাম নাঈম। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ানিং শেষ করে চাকরির আশায় বসে না থেকে নিজেই গড়ে তুলেছেন খান অ্যাগ্রো পার্ক। ২০২১ সালে চর রমনী মোহন গ্রামে ৩ একর ২০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ড্রাগনসহ কয়েকটি ফলের চাষ শুরু করেন নাঈম। বর্তমানে বাগানে সারি সারি ড্রাগন গাছে ফল এসেছে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
প্রতিটি গাছে ঝুলছে লাল রঙের ড্রাগন ফল। ১০-১৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন তার এই বাগানে। রোগবালাই কম হওয়ার পাশাপাশি চাষ পদ্বতি সহজ হওয়ায় এবং বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় বিদেশি এ ফল চাষে এরই মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আশপাশের অনেকে। তরুণ উদ্যোক্তা মাজহারুল ইসলাম নাঈম জানান, কম্পিউটারে কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। বর্তমানে তার ড্রাগন বাগানে ৮ শতাধিক গাছ রয়েছে।
প্রতিটি গাছেই ফল এসছে পর্যাপ্ত। প্রতি কেজি ড্রাগন ফল পাইকারি ২৫০-৩০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই ড্রাগন ফল থেকে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আয় করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন জানান, মাঠপর্যায়ে কৃষক ও বেকার যুবকদের ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী করে তুলতে পারলে একদিকে যেমন বিদেশি ফলের আমদানিনির্ভরতা কমে আসবে অন্যদিকে ফল চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবেন। এ ছাড়া নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

Recommended For You