সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটা সংস্কার এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ৩টার পর শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারক লিপি জমা দেন। বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কোটা আন্দোলনকারী প্রতিনিধি দল। এর আগে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। জানা গেছে, বঙ্গভবনে যাওয়া ১২ জনই আন্দোলনের সমন্বয়ক। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আব্দুল কাদের, মেহেরুন্নেসা নিদ্রা, মো. মাহিন সরকার, আরিফ সোহেল , আশিক, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদ, সুমাইয়া আক্তার।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল নিয়ে বঙ্গভবনের পথে রওনা হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বঙ্গভবন যাওয়ার পথে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখান থেকেই আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যায়। এদিকে অন্য শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে এবং জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করবেন। আন্দোলনকারীদের অবরোধের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জিরো পয়েন্ট। ফলে আশপাশের সড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গণপদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ‘কোটা নয়, মেধা চাই’, ‘চাকরি পেতে, স্বচ্ছ নিয়োগ চাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ‘দফা এক দাবি এত, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’,‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘চাকরি তার, মেধা যার’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন অভিমুখে গণপদযাত্রার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।