অনিয়ম-র্দূনীতির প্রতিবাদ করায় বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে দুই কর্মকর্তার রোষানলের শিকার হয়ে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি শাখার উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত মো. আবু তাহের নামের এক কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে মোংলা বন্দরে আলোড়ন সৃস্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় আবু তাহের নামের ওই কর্মকর্তা হয়রানির পাশাপাশি সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্নে শিকার হচ্ছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি শাখার উচ্চমান সহকারী মোঃ আবু তাহের বলেন, গত রমজান মাসে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (মাধবী) আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে একটি দোকান ঘর নির্মান করা হচ্ছিল, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আমি সেখানে যাই এবং ওই দোকান নির্মানে নিষেধ করি। এসময় মোংলা বন্দরের জুনিয়ার অফিসার (সিভিল এন্ড হাইড্রোগ্রাম) ও সিবিএর সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ ফিরোজ দোকান নির্মানে নিষেধ করায় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দেখে নেওয়ার হুকমী দেয়। এছাড়া মোঃ ফিরোজ এর সাথে আমাদের লাইব্রেরিম্যান নূর ইসলাম যুক্ত হয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর চেষ্টা চালায়। ইতিপূর্বে নূর ইসলাম বিভিন্ন সময় ড্রেজিং এর বালি ও বিভিন্ন ফ্যাক্টটোরিতে র্দূনীতির করার কারনে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/
তিনি আরও বলেন, মূলত গত রমজান মাসে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর নির্মানে বাধা দেওয়ায় ওই দু’জন আমার নামে (বেনামে) নানা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে থাকে। এমন পরিস্থিতে র্দূনীতির প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে হয়রানির পাশাপাশি সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্নে করতে থাকে। এ ঘটনায় আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের বিচার চাই এবং তাদের হুমকী-ধামকী থেকে বাঁচতে চাই।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দরের জুনিয়ার অফিসার (সিভিল এন্ড হাইড্রোগ্রাম) ও সিবিএর সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ ফিরোজ বলেন, মোংলা বন্দরের কোন অনিয়ম র্দূনীতির সাথে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহিন।