সায়েন্সল্যাবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ 

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ আবারো রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। এরপর একটি মিছিল নিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে অবরোধ করে। এর ফলে এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড এবং ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন

এদিকে সাত কলেজের ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত ও চানখারপুল মোড় অবরোধ করে রেখেছে। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া ও শাঁখারি বাজার মোড়ে অবস্থান করছে। এর ফলে এই এলাকার সবগুলো প্রধান ও শাখা সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে যানজট।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘কোটা নয়, মেধা চাই’, ‘চাকরি পেতে, স্বচ্ছ নিয়োগ চাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ‘দফা এক দাবি এত, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’,‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘চাকরি তার, মেধা যার’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ঢাকা কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, অন্যায় এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা আজ সড়কে অবস্থান করবেন। আমরা কোটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কোটার মাধ্যমে বৈষম্য করা হচ্ছে। এর আগেও আমরা কলেজের মূল ফটকে অবস্থানসহ কোটাবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। আমাদের দাবি একটাই। সেটি হচ্ছে কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে সমতা রক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আদালতের রায়ে যদি কোটা বহাল রাখা হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে। আর যদি কোটা রাখতেই হয় তাহলে ৫ শতাংশের বেশি নয়। আমরা মনে করি, কোটা ব্যবস্থা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একজন শিক্ষার্থী বেশি নাম্বার পেয়েও নিয়োগ পাবে না, আর আরেকজন কম নাম্বার পেয়েও কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে যাবে এটি হতে পারে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে মেধার ভিত্তিতে হোক, যাতে যোগ্যতম প্রার্থীরাই চাকরি পায়। হাইকোর্টের যে রায় হয়েছে সেটি আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকতেও কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বহাল হতে দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি আদায়ে আজ সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You