ঘুষ নেওয়া সেই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনার তালতলী উপজেলার উপজেলার কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া মাদ্রাসা সুপার মাহবুবুল আলম নাসির ও তালতলী ছালেহীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (দপ্তরি) মো. ছগিরের বিরুদ্ধে শাহজালাল হাওলাদার নামে এক চাকরি প্রার্থীর বাবা থানায় মামলা করেছেন। মঙ্গলবার ৮ জুলাই রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তালতলী থানার ওসি। 
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তালতলী ছালেহীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার দপ্তরী মো. ছগির ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে ছেলের চাকরির কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বলে করইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ল্যাভ সহকারি পদের একটি চাকরির পদ খালি আছে। মাদ্রাসা সুপার মাহবুবুল আলম নাসিরের মাধ্যমে এই চাকরি হবে।
এরপর মাদ্রাসা সুপার ও ছগির ভুক্তভোগীর বসত বাড়িতে আসিয়া চাকরি দেওয়ার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়া মোট ১২ লাখ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগী নয় লাখ টাকায় রাজি হলে এক মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার কথা বলে চেক ও স্টাম্পের মাধ্যমে মোট ৯ লাখ টাকা নিয়ে মাদ্রাসা সুপার এক মাস পরে দুই মাস পরে বলে ঘুরাইতে থাকে এরমধ্যে প্রায় ৮ মাস আগে ৪ লাখ টাকা চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে ফেরত দেন। বাকি ৫ লাখ টাকা আজ কাল বলে ঘুরাইতে থাকে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/
ভুক্তভোগী মামলায় উল্লেখ করেন, আসামিরা সরলতার সুযোগ নিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে, এবং প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।
জানা যায়, বছরখানেক আগে ছেলের চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে মাদ্রাসা সুপার মাহবুব আলমের হাতে ৯ লাখ টাকা তুলে দেন শাহজালাল হাওলাদার। বারবার আশ্বাস দিয়েও চাকরি দিতে না পারায় ৪ লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৫ লাখ টাকা না পেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন শাহজালাল হাওলাদার। বিষয়টি তদন্ত করে তারা আইনগত ব্যবস্থার জন্য ওসি তালতলী থানাকে মামলা নেওয়ার সুপারিশ করেন।
ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার বলেন, ছেলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দপ্তরী ছগির ও নাসির ১২ লাখ টাকা দাবি করেছে। জমি বিক্রি করে ৯ লাখ টাকা নসিরের হাতে দিলে এক মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার কথা বলে। প্রায় ৮ মাস পরে চাকরি দিতে না পারায় ৪ লাখ টাকা ফেরত দেয় বাকি পাঁচ লাখ টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও তার বাড়িতে কয়েক দফায় গেলেও ঘুরাইতে থাকে।
তালতলী থানার (ওসি)শহিদুল ইসলাম খান বলেন, মাদ্রাসা সুপার মাহবুবুল আলম নাসির ও তালতলী ছালেহীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (দপ্তরি) মো. ছগিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Recommended For You