মানুষভেদে কাল পছন্দে কারও শীত পছন্দ, কারও বা বসন্ত। এছাড়াও বেশ কিছু মানুষের বর্ষা পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। বর্ষা ভালো লাগেনা বলতে গেলে এমন আন রোমান্টিক মানুষ খুব একটা পাওয়া যবে না। তবে প্রতিটা জিনিসের যেমন একটা পজেটিভ আর নেগেটিভ দিক থাকে তেমনি বর্ষারও অনেক পজেটিভ দিকের মধ্যে অন্যতম একটা নেগেটিভ দিক আছে। একেবারে নেগেটিভ বললেও ভুল হবে। সে দিকটি হচ্ছে বর্ষায় মন ব্যাকুল হওয়া ছাড়াও সঙ্গী হয় ত্বকের চিটচিটে ভাব। ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার কিংবা অন্যান্য প্রসাধনী মেখেও স্বস্তি মেলে না।
বর্ষার এই চিটচিটে অস্বস্তি থেকে মুক্তির উপায় জেনে নেওয়া যাক
- হালকা পোশাক পরুন
বর্ষাকালে ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়ায় অসহনীয় গরম কেটে গেলেও ঘাম হতেই থাকে। সাধারণত মোটা পোশাক পরলে এই অস্বস্তি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সুতির হালকা পোশাক পরুন। তাতে ত্বকে র্যাশ, ঘামাচির ঝুঁকিও কমবে। যত্ন পাবে ত্বক।
- ত্বকের বাড়তি যত্ন নিন
সারা বছর যে রুটিন মেনে রূপচর্চা করেন, বর্ষায় সেই রুটিনে বদল আনুন। বর্ষার বাতাস বেশি আর্দ্র। ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে এই সময়ে রূপটান প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের ছিদ্রপথ রুদ্ধ হয়ে যায়। বাড়ে ব্রণের ঝুঁকি। ত্বকের ব্রণ অস্বস্তি দ্বিগুণ করে তুলতে পারে। তাই ব্রণ হতে দেওয়া যাবে না। আর তাই নিতে হবে বাড়তি যত্নও।
- পরিষ্কার পোশাক পরুন
অপরিচ্ছন্নতা সময়ই ক্ষতিকর। এতে মন মেজাজের পাশাপাশি শারীরিক অস্বস্তি দেখা দেয়। তাই রাস্তায় কাদা-জল বলে আলমারি থেকে নতুন পোশাক না বার করে একই জামা একটানা পরছেন? পোশাকের মায়া ত্যাগ করে নিজের কথা ভাবা জরুরি। ঘামে ভিজে আবার শুকিয়ে যাওয়া পোশাক এক বারের বেশি পরলেই ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এই মরসুমে একই পোশাক বেশি দিন পরা একেবারেই ঠিক নয়। তা যথাসম্ভব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। নিজের সুস্থতা ও প্রশান্তির জন্য নিজেকেই যথাযথ সচেতন হতে হবে।
ডব্লিউজি নিউজ/এমএসআই