৭ম দিনেও চলছে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

বিআর ই বি ও পবিসের এক ও অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন ও পদায়নের বৈষম্যসহ বিভিন্ন দাবীতে সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে কর্মবিরতি চলছে।
রবিবার (৭ই জুলাই) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভবনের সামনে ১লা জুলাই হতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে আজ ৭ম দিনের মতো এ আন্দোলন চলছে।
এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দাগনভুইয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম জাহাংগীর আলম। উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর দপ্তরের ডিজিএম  ইউসুফ আলী, ছাগলনাইয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম জানে আলম, পরশুরাম জোনাল অফিসের ডিজিএম সনৎ কুমার ঘোষ, ফুলগাজী জোনাল অফিসের ডিজিএম ইকবাল মাহদী।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে অনুসরণ করুন https://worldglobal24.com/
অনুষ্ঠান স্থলে বক্তব্য দেন বিলিং সহকারী  আকলিমা , লাইনক্রু জামাল হোসেন , এজিএম প্রশাসন আনিসুর রহমান খন্দকার , ডেপুটি জেনারেল ম্যনেজার জাহাংগীর আলম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারি জেনারেল ম্যানেজার রাজিব সরকার, আবু তৈয়ব,  আকাশ কুসুম বড়ুয়া, আহসান হাবীব, রাসেদুল ইসলাম, মোঃ ইলিয়াস, মবিনুল হক, মনিরুজ্জামান, আনিছুর রহমান সহ সকল এজিএম, সহ:এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর,সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলীবৃন্দ, ওয়্যারিং ইন্সপেক্টর, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, সকল পিউসি, সকল লাইনক্রুগণ , বিলিং সহকারী ও বিলিং সুপার ভাইজার এবং সকল মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (পিসিএম/এমসিএম) উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১লা জুলাই হতে প্রতিদিন  সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমরা ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্ম বিরতি পালন করছি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ১২ কোটি জনগণকে (৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল সমূহ(ট্রান্সফরমার, ইনসুলেটর, পোল, লাইটিং এরেস্টর, এসি আর ইত্যাদি) ক্রয় করে আর ই বি , যা খুবই নিম্ন মানের।  এই নিম্ন মানের মালামাল ক্রয়ের কারণে গ্রাহক হয়রানী বৃদ্ধি পাচ্ছে , লাইনের ফল্ট পাওয়া যাচ্ছে না।  আর ই বি পবিসের মালামাল যে সত্যিই নিম্নমানের,তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বর্তমানে বজ্রপাতে অসংখ্য ট্রান্সফরমার নিমিষেই বিনষ্ট হচ্ছে। এতে সরকারের কোটি টাকা নষ্ট করছে।
একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ, পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীগন। এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায় সংগত অধিকারের কথা বললেই নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করে বাপবিবো এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, সকল চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদেরকে নিয়মিতকরণ, ৫ শতাংশ প্রনোদনা জুলাই-২৩ হতে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে- জুলাই-১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিষ্টারবেন্স এলাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির জন্যও বাস্তবায়ন চান তারা।
কর্মবিরতির বিষয়টি সম্পর্কে ইতিপূর্বেই ফেনী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You