বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়েছে এই কাঁচা পণ্যটির দাম। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। তবে কিছুটা নিম্ন মানের কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনার বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করতে চাইছে না ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, দামের কারণে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করা যাচ্ছে না।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসেন ফিরোজ হাসান। তিনি বলেন,গত সপ্তাহে ২৫০ কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ এসে দেখি তা ৩৫০ কেজি হয়ে গেছে। কাঁচা মরিচ ছাড়া রান্না-বান্না করায় যায় না। কি আর করার বাধ্য হয়ে এই দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচ এখন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। এভাবে যদি দাম বাড়তে থাকে তাহলে মরিচ বাদ দিয়েই রান্না করতে হবে।
অন্যদিকে সবজি বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনার বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। তাদের বেশি দাম দিয়ে কিনে এনে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
এদিকে,গত কয়েক দিন ধরে চলা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। তবে সবজি ও মাছের বাজার রয়েছে চড়া। গত সপ্তাহের তুলনার প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে।প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২২০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁরস প্রতি কেজি ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১২০টাকা, পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।