রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা কোটাপদ্ধতি সংস্কার চেয়ে ৪টি দাবি তুলে মানববন্ধন করেছে। সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানায় মানববন্ধে। এসময় রাবির বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী উক্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোড থেকে মানববন্ধন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁই নাই’, ‘মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী অপশক্তিরা নিপাত যাক’, ‘দেশ স্বাধীন করলো যারা, কেন অপমানিত হবে তারা’, ‘কোটা ব্যবস্থা বৈষম্য সৃষ্টি করে না, বরং সমতা বিধান করে’, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ চলবে না, চলবে না’, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানহানি করা যাবে না’ এসময় এমন সব স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
ওই সময় শিক্ষার্থীরা জানায়, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তৎপর ছিল, আছে এবং থাকবে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি চাকুরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতির সংস্কারের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।
কোটাপদ্ধতি সংস্কার চেয়ে ৪টি দাবি তুলে ধরেন তারা বলেন,
* ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে। কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।
*ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে।
* প্রতি জনশুমারির সাথে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
*দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।