জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বৎসরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দিনাজপুর জেলার গোড়াঘাট উপজেলার রুপসী পাড়ার নজিবর রহমানের ছেলে আসাদুল, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের হাসানের ছেলে মজিবর রহমান, পাইকড় দরিয়া গ্রামের ছলিমুদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, গোবিন্দপুর গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান, একই গ্রামের মজিবর রহমান মাষ্টারের ছেলে আনিছুর, জোরা তেলখোর খাসপাড়া গ্রামের মৃত হেমায়েত ফকিরের ছেলে মোঃ কালাম, রেজাউলের ছেলে খায়রুল ইসলাম, শিয়ারা গোবিন্দপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে মোঃ বাবু, জোরা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ সোহেল, গোড়াঘাট উপজেলার রুপসী পাড়ার মোজাহার আলীর ছেলে মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার সুন্দরপুর ধোপাপাড়া গ্রামের মোজাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আজিজুল।
এর মধ্যে মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল ছাড়া বাকি ৯ জন পলাতক রয়েছেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন, জয়পুরহাট জজ কোর্টের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড.মোঃ বদরুল ইসলাম হোদা।
আদালত ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন স্টকের ব্যবসা করতেন। ২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কাঁকড়া ব্রীজের কাছে ব্যবসার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আসামীরা আলী হাসান বাবুকে গলায় পাটের রশি পেচিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে জখম করে হত্যা করে লাশ নদীর মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবু বক্কর বাদী হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।