মুজিবকেল্লা নির্মাণে সুফল বয়ে আনবে দূর্যোগ ও ক্ষতিগ্রস্তদের

সম্প্রতী দূর্যোগ ব্যবস্থ্পনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় এর অর্থয়ানে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রাওথা নামক স্থানে মুজিবকেল্লা নির্মাণ কাজ চলমান। এই কেল্লা নির্মান শেষ হলে সুফল পাবে নদী ভাঙ্গন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

চারঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শামীম আহম্মেদ দেওয়া তথ্য মতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারীতে মুজিবকেল্লার নিার্মণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। যার মুল্য ৮ কোটি ১১লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। তবে চুক্তি মূল্য ৭ কোটি ৪১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩শত টাকা। এই কেল্লায় ৩তলা বিশিষ্ট ০১টি ভবন রয়েছে। এই ভবনটি ১৬ হাজার ২০০ স্কয়ার ফুট। এর নিচ তলায় গবাদী পশু থাকার ব্যবস্থা রয়েছ। বাকি ২ তলায় ৩টা করে ৬টি কক্ষ থাকবে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় এখানে ২হাজার ৫শত জন আশ্রয় গ্রহন করতে পারবে। এই ভবনে ৩ তলা পর্যন্ত র‌্যাম সংযুক্তি রয়েছে যার জন্য প্রতিবন্ধীরা তাদের সুবিধা মতো উঠা নামা করতে পারবে। এছাড়া ১তলা বিশিষ্ট ক্যাটল শেড রয়েছে। এই শেডটি ৭হাজার ৫শত ৩০স্কয়ার ফুট। এই শেডের লম্বা ৭৮ফুট এবং প্রস্থ ৪৭ফুট। এখানে ২টি কমিউনিটি স্কেপ থাকবে এবং ৫শত পুরুষ ও মহিলা আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া গবাদি পশু রাখারও ব্যবস্থা রয়েছে।

চলমান নির্মাণ কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান, মের্সাস রুমানা এন্টারপ্রাইজ এই ভবনের নির্মাণ কাজ করছেন। ভবনটি উপজেলার রাওথা কলেজের পাশে তৈরী হচ্ছে। বর্তমান এই ভবনের ৬৪ ফুট লম্বা মোট ৬০টি পাইলিং এর কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি পাইলিং পাথর দিয়ে করা হচ্ছে। অনিয়মের প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, এই উপজেলায় পিআইও দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আজ অবদি কোন দূর্নীতির অভিযোগ আসেনি। তবে অনুপস্থিত মস্তিস্কে কাজ করার সময় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হতে পারে। সর্বপরি সাবেক পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বর্তমান চারঘাট-বাঘা এমপি তার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উন্নয়ন শতভাগ হওয়ার দাবিদার। তিনি নিজেই বিভিন্ন উন্নয়ন মুখি নির্মাণের খোজ খবর নিয়ে থাকেন।

স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান দেশের আবহাওয়ার সঠিক সময় বলে আর কিছু নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি প্রতিনিয়ত রুটিন। তবে কখন ঝড় তুফান হবে তা বুঝা কঠিন। স্থানীয় এমপি’র প্রচেষ্টায় এই মুজিবকেল্লা নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদা খানম বলেন, নদী ভাঙ্গন এলাকার জন্য এই মুজিবকেল্লা আশীর্বাদ স্বরূপ। রাজশাহী জেলাটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। জেলার গোদাগাড়ি, পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বেশ কিছু পরিবার নদীর চর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। বিশেষ করে চারঘাট উপজেলার বেশির ভাগ বসত ভিটা ও চাষাবাদের জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। যার পূর্ব ইতিহাস এর প্রমান বহন করছে। এই ভবন নির্মাণে শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কাজের গুনগত মান সঠিক রাখার জন্য সংশ্লিষ্টরা তদারকি করছেন। পরিশেষে ইউএনও বলেন, চারঘাট-বাঘার এমপি’র সহযোগিতায় বিভিন্ন উন্নয়ন চলমান রয়েছে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You