
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদাহ শংকরচন্দ্র গ্রামে অবস্থিত হিমালয় অটোইটভাটার পুকুর থেকে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ইটভাটার পুকুর থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধাক করে সদর হাসপাতা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত শান্ত সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের পারহাউজ পাড়ার আজিজুল হক আইজেলের ছেলে।
ইটভাটার জনৈক এক শ্রমিকের বরাত দিয়ে নিহত শান্তর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, হিমালয় অটোইটভাটার ৫০/৬০ ফুট গভির কয়লার হাউজ পরিষ্কার করার জন্য ভাটার অন্য কোন শ্রমিক রাজি করাতে পারেনি মালিক পক্ষ। এক পর্যায়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে শান্তকে কয়লার হাউজ পরিষ্কার করতে নিচে নামিয়ে দেয়।
হাউজের নিচে অক্সিজেনের অভাব থাকায় নামানোর কিছুক্ষাণের মধ্যে শান্তর দম আটকে আগে সে উপরে উঠার জন্য চেষ্ঠা করে। পরে অন্য শ্রমিকরা শান্তকে উপরে তুলে আনতে সক্ষম হলেও তাকে বাঁচাতে পারেনি। ফলে এই মৃত্যু ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য অটোইটভাটা কর্তৃপক্ষ শান্তর মরদেহ পুকুরে ফেলেদেয়।
গ্রামবাসী আরো জানায়, এক বছর আগে (পূর্বে) এই একই কয়লার হাউজ পরিষ্কার করতে গিয়ে ঐ ইটভাটা শ্রমিক সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের সানোয়ার হোসেন মারাযায়। সেবার (গতবার) ইটভাটা কর্তৃপক্ষ সানোয়ার স্ট্রোক করে মারাগেছে বলে পার পেয়ে গিয়েছিল।
জানা যায়, নিহত শান্ত গ্রামের মসজিদে নিয়মিত আজান দিতো। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো পাশাপাশি সংসার চালানোর তাগিদে ঐ ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো। খুব ভালো ছেলে ছিলো শান্ত।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য হিমালয় অটোইটভাটা কর্তৃপক্ষর কারো সাথে যোগাযোগা করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন বলেন, আমরা লাশ উদ্ধারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শান্ত পানিতে ডুবে মারা গেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে এখুনি কিছু বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল করে লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানাবো।