ঢালিউড নায়িকা ইয়াসমিন হক ববির বিরুদ্ধে চুরি ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগে মামলা করেছেন মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা। এরপর ববিও পাল্টা মামলা করেছেন সাকিবের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সামনে এসে সাহায্য চেয়েছেন অভিনেত্রী।
সোমবার (১ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে ববি বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি বলতে চাই, ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদে পড়েছি আমি। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কারণে ৫৫ লাখ টাকার অর্থ প্রতারণার শিকার আমি।’
তিনি অভিযোগ করেন, আমরা যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে এসব কাগজপত্র চেয়েছি তখন থেকে হঠাৎ করেই পূর্বের রেস্টুরেন্ট মালিক আমান, মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, জাওয়াদ, ভবনের দায়িত্বে থাকা জয়, সাকিবসহ অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের হয়রানি শুরু করেন। প্রথমে আমান তাকে পরিশোধ করা ১৫ লাখ টাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন। অন্যদিকে শাহিনা ও জাওয়াদের নির্দেশে ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জয়, সাকিব, হারুন ও তাদের সহযোগীরা বারবার আমার রেস্টুরেন্টের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে আমাকে হয়রানি শুরু করেন। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওয়ান গ্রুপ থেকে বারবার সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গুলশানের মতো জায়গায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে দেখে আমি ভীত হয়ে যাই এবং এরা আসলে কাদের লোক তা জানার চেষ্টা করি। তখনই আমরা প্রথম জানতে পারি, শাহিনা ইয়াসমিন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী এবং এই ভবনের মালিক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন নিজেই।
ববি বলেন, আমি ও আমার পূর্বপরিচিত সহযোগী মির্জা আবুল বাশার মিলে গুলশান এরিয়ার গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর সড়কে একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করি। এরজন্য আমান নামের একজন ব্যবসায়ী থেকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য স্থানটি ভাড়া নিই। তার সঙ্গে একটি চুক্তিও হয়। এপ্রিল মাসে আমান আমাকে পজিশন বুঝিয়ে দিয়ে চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন পরিবর্তন করতে আরও টাকা খরচ করা হয়।
পরীক্ষামূলকভাবে রেস্টুরেন্টটি চালু করার পর ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য ভবনের মালিকের কাছে প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র চাই। তারপর থেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছি।
ববি আরও বলেন, ‘ওই বিল্ডিংয়ের মালিক শাহিনা ইয়াসমিন (বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী) ও তার ছেলে জাওয়াদ রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে অনেক মালামাল নষ্ট করেন। মোট ৫৭ লাখ টাকার মালামাল চুরি গেছে আমার।
বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেস্টুরেন্টটির। আমার পক্ষের লোকদেরও মারধর করা হয়। অনবরত হুমকিও দেয়া হচ্ছে আমাকে।’
এ অবস্থায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ববি বলেন, বেইলি রোডের ভয়াবহ ঘটনার পর এ ভবনটির বৈধতা না থাকায় সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল। পরে আবারও তা চালু করাতেই এমন আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। এ সমস্যার প্রতিকার কী, তাও জানতে চান অভিনেত্রী।