দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘সুখের কারখানা’

দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘সুখের কারখানা’

দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু কেন্দ্রের কক্ষকে বলা হয় ‘সুখের কারখানা’ বা হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি। এই ছোট কক্ষগুলোতে ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহারের অনুমতি নেই এবং বাসিন্দারা কয়েদিদের মতো নীল পোশাক পরেন। তবে, তারা কয়েদি নন। তাদের উদ্দেশ্য, একাকিত্বের অভিজ্ঞতা অর্জন করা।

এই কেন্দ্রগুলোতে যেসব অভিভাবকরা আসেন, তাদের সন্তানরা ‘হিকিকোমোরি’ নামে পরিচিত, যারা সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। একটি জরিপে দেখা গেছে, ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৫ শতাংশের বেশি তরুণ এই অবস্থার শিকার। সমাজবিচ্ছিন্ন সন্তানদের বাবা-মায়েরা একটি ১৩ সপ্তাহের শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, যা কোরিয়া ইয়ুথ ফাউন্ডেশন ও ব্লু হোয়েল রিকভারি সেন্টার পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য সন্তানদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগের কৌশল শেখানো। নির্জন কক্ষে থাকার অভিজ্ঞতায় অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের মানসিক অবস্থা ও আবেগগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। যেমন জিন ইয়ং-হে (ছদ্মনাম) বলেন, তার ছেলে তিন বছর ধরে নিজেকে আলাদা করে রেখেছে, এবং নির্জন কক্ষে থাকার পর তিনি তার ছেলের অবস্থা আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন

দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের গুটিয়ে নেওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বেকারত্ব, সামাজিক সম্পর্কের সমস্যা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা। দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হারও বেশি। এ সমস্যার সমাধানে সরকার পাঁচ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কিয়ুং হি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জেয়ং গো-উন উল্লেখ করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বড় ধরনের লক্ষ্য অর্জনের চাপ, বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ার সময়ে, তরুণদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You