রাজনৈতিক দল হিসেবে ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক স্থিতি রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। গেল বছর (২০২৩ সাল) দলটির আয় বেড়েছে, একই সময়ে ব্যয় বাড়লেও তা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে কম। তার কারণ হিসেবে দলটি বলছে, নেতাকর্মীরা নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করেছে তাই দলীয় খুব বেশি ব্যয় বাড়েনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নির্বাচন কমিশনে দলটি এমন হিসাব জমা দিয়েছে।
দলটির আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটি ব্যয়ও বেড়েছে, আগের চেয়ে যা দুই কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা বেশি।
ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার পর দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এ বিবরণী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হয়। আমরা আগেই দিলাম।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের ব্যাংকে ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল। এ বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মাসিক চাঁদা, সদস্যরা চাঁদা দেন। যার পরিমাণ এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান প্রাপ্তি (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) এক কোটি এক লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রয় (৩৩৬৫ জন) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রয় (অন্যান্য) দুই কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ চার কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এতে মোট ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে। আর নয় কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দলটির ব্যয় হয়েছে।
তিনি বলেন, অফিস স্টাফদের বেতন, রাজনৈতিক কর্মসূচি, পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা প্রভৃতি খাতে ব্যয় হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বছরের শুরুতে যে জমা টাকা ছিল, তার সঙ্গে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা যোগ করলে মোট তহবিল দাঁড়ায় ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আবার গত ছয় মাসে আয় বেড়েছে। এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি।