কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে ঈদের আগের দিন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় কর্তা বাড়ির নাদিম গুরুতর আহত হলে তিন দিন পর ১৯ জুন হাসপাতালে মারা যায়।
নাদিম কর্তা খুনের ঘটনার ছয়দিন পরে তার ভাই বাকী কর্তা রবিবার রাত ১টায় ভৈরব থানায় সাদেকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাফায়েত উল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৮৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় চেয়ারম্যানের ভাই মো. আলামিন ও তার ছেলে নাহিদ ও জাহিদকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে ৮৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১০/১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করলেও তিনি বলেন অভিযোগটি যাছাই- বাছাই করে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বাকী বলেন, আমার ভাইকে সরকার বাড়ির বংশধর চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহর নির্দেশে খুন করা হয়েছে। যারা খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের আসামি করেছি। আমার ভাই হত্যার বিচার পেতেই মামলাটি করেছি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ বলেন, সংঘর্ষের সময় আমি ও আমার দুই ছেলে ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কর্তা বাড়ির বাকী কর্তা বাদী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে।
উল্লেখ, ঈদের আগের দিন গত ১৬ জুন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার মৌটুপি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় কর্তা বাড়ির নাদিম গুরুতর আহত হলে তিন দিন পর ১৯ জুন হাসপাতালে সে মারা যায়।