চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এটা মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং অমানবিক। দেশ ও জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন অবস্থানের কারণে তিনি আজ সবচেয়ে মজলুম নেত্রী। উপমহাদেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে।
তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
রবিবার (২৩ জুন) বিকালে নগরীর চকবাজারস্থ কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
দোয়া অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে কালক্ষেপণ করেছে সরকার। কেবলমাত্র রাজনীতি ও জনগণ থেকে দুরে রাখার জন্য একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেল জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে। আওয়ামী লীগ জানে, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কাছে তাদের অন্যায় অত্যাচার টিকবে না। কারণ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে তারা ভয় পায়।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপি নেতা ইয়াসিন চৌধুরী আসু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, দিদারুল আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, মো. আলী, আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউছুপ শিকদার, জাকির হোসেন, মো. মহসিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, আলাউদ্দিন আলী নুর, মন্জুর আলম মন্জু, কাজী শামসুল আলম, আলী আব্বাস, মো. বেলাল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, দিদারুর রহমান লাভু, রাসেল পারভেজ সুজন, মো. আলমগীর, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, হাসান ওসমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, ছাত্রদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন প্রমুখ।