ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে মৌসুমের প্রথম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। করপোরেশন পরিচালিত ৬ ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৪টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে এবং এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনাকে ৬ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রবিবার (২৩ জুন) করপোরেশনের তিলপাপাড়া, নন্দীপাড়া, খিলগাঁও, পূর্ব রসুলপুর, কামরাঙ্গীরচর, জুরাইন, উত্তর ও দক্ষিণ মান্ডা, গ্রিন মডেল টাউন, ব্রাইট স্কুল এর আশপাশ ও সরাই মসজিদ গলি, দনিয়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ০১ নম্বর ওয়ার্ডের তিলপাপাড়া এলাকায় ৫১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ০২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসুলপুর এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময় করপোরেশনের মশককর্মীরা মশার লার্ভা ধ্বংস করে। ভবিষ্যতে যাতে এডিস মশার প্রজননস্থল উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আদালত এ সময় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেয়।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ ইভা ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের জুরাইন এলাকায় ১৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-নোমান ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ও দক্ষিণ মান্ডা, গ্রিন মডেল টাউন এলাকায় ২০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় করপোরেশনের মশককর্মীরা মশার লার্ভা ধ্বংস করে। ভবিষ্যতে যাতে এডিস মশার প্রজননস্থল উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আদালত এ সময় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেয়।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. ইয়াছিন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাইট স্কুল এর আশপাশ ও সরাই মসজিদ গলি, দনিয়া এলাকায় ৩২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়। এ সময় করপোরেশনের মশককর্মীরা মশার লার্ভা ধ্বংস করে। ভবিষ্যতে যাতে এডিস মশার প্রজননস্থল উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আদালত এ সময় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেয়।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ২০৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় সর্বমোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।