মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ছুরিকাঘাত হন নিহত তরুণের এক স্বজন।
গতকাল শনিবার গভীর রাতে উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত তরুণের নাম ঈদুল হাসান আরমান (২২)। তিনি উপজেলার গরেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী সুমন মিয়ার ছেলে।
অন্য ছুরিকাহত ব্যক্তির নাম রফিক মিয়া (৪৮)। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও নিহত আরমানের খালু। বর্তমানে তিনি সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল করেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত ঈদুল হাসান আরমানের মা রহিমা আক্তার অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রের বরাতে জানা যায়, আরমান গতকাল রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশী তানভীর আহমদ (২২) ঘরের সামনে এসে তাঁকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আরমান ঘুম থেকে উঠে ঘরে থেকে বের হন। তৎক্ষণাৎ তানভীর ধারালো ছুরি দিয়ে আরমানের ঘাড়ের ডান পাশে আঘাত করেন।
এ সময় আরমানের খালু রফিক মিয়া কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনাটি দেখে তিনি বাঁধা দিতে গেলে তানভীর তাঁকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে ছুরিকাহত রফিক মিয়াকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তানভীর, তানভীরের বাবা ইয়াজ মিয়া (৫৫), ভাই তুহিন আহমদ (১৯) ও চাচা তাজ মিয়াকে (৫৫) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আজ রোববার সকালে জুড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত আরমানের ডান পাশের ঘাড়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।