কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করে রাশিয়া। এরপর শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিধর যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি থিওডোর রুজভেল্ট।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুসান নৌঘাঁটিতে রণতরিটি আগমনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এবারের ত্রিদেশীয় সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান অংশ নেবে। এ মহড়া উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির জবাব দিতে তাদের দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করবে। গত বছরের আগস্টে এই তিন দেশের নেতারা প্রতি বছর সামরিক প্রশিক্ষণ মহড়া আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছিলেন।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন রণতরির আগমনের আগের দিনই রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদ জানাতে এ পদক্ষেপ নেয় সিউল। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। পুতিন ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবার উত্তর কোরিয়া সফর করেন।
সিউল বলেছে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার চুক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এর প্রতিক্রিয়ায় সিউল ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার কথা বিবেচনা করছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মুখোমুখি কিয়েভ। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও একে অপরের ভূখণ্ডে বেলুন পাঠানোর মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে দুই দেশ।