ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি যুবনেতা মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেছেন, প্রবাসীদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল হচ্ছে। প্রবাসীরা দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধকরণে ভুমিকা রাখছেন। অথচ এই প্রবাসীরা প্রতিটি সেক্টরে নানাবিদ হয়রানীর শিকার হন।
পাসপোর্ট নবায়নে সমস্যা, ছুটিতে দেশে গেলে এয়ারপোর্টের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদেরকে মানুষই মনে করে না। তাদের সাথে যা তা ব্যবহার করেন। তাদের সামানাপত্র ফিক্কা মেরে ফেলেন, লাগেজ আটকে রাখেন, লাগেজ খুলে মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও অহরহ। এভাবে নানাবিদ সমস্যায় প্রবাসীরা জর্জরিত। এদিকে সম্মেলনস্থলে প্রধান অতিথি মাওলানা নেছার উদ্দিন অনুষ্ঠানস্থলে পৌছলে শাখা নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
গতকাল শুক্রবার রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সৌদী আরবের জেদ্দা আল-বাওয়াদী শাখার উদ্যোগে জেদ্দার সুক আল-বাওয়াদীর ভোজন বিলাসে ‘প্রবাসীদের হয়রানী বন্ধ ও তাদের সমস্যার সমাধান শীর্ষক’ আলোচনা সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, সংগঠনের জেদ্দা মহানগর সভাপতি শায়খ মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সৌদী কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আল-আমীন খলিফা, হাফেজ ইসমাঈল শরীফ, মাওলানা ফরহাদ উল্লাহ, হাজী কাওছার আহমদ।
সংগঠনের আল-বাওয়াদী শাখার সভাপতি মাওলানা শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী শেখ ফজলুল করীম নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনীতে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল,মাওলানা শামসুল হক ভূঁইয়া, হাফেজ মাওলানা এনায়েত উল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা সা’দ উল্লাহ্, মুফতী হাবীবুল্লাহ মোখতার, হাফেজ কেরামত আলী, মাওলানা শেখ মহিউদ্দিন, হাজী ওমর ফারুক বাবু, হাজী সাইফুল ইসলাম, হাফেজ বদিউল আলম, হাজী মকবুল হোসাইন, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম,শেখ আনিছুর রহমান আনিছ, মুহাম্মদ তারেক মজুমদার, নাজিম উদ্দিন, মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুহাম্মদ ইয়াসিন,এম রিয়াদ হোসাইন, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, রাসেল হোসাইন প্রমুখ।
মাওলানা নেছার উদ্দিন বলেন, প্রবাসে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস কর্মকর্তারাও প্রবাসীদের সাথে ভাল ব্যবহার করেন না। পাসপোর্ট নবায়নে গড়িমসি ও হয়রানী করে থাকেন। প্রবাসীরা কাগজপত্রের সমস্যা, কাজের সমস্যা ও ইকামার সমস্যায় বেশি ভোগেন। বিদেশে কোন প্রবাসী শ্রমিক কোন সমস্যায় পড়লে দূতাবাসে জানালেও তারা খুব কমই কেয়ার করেন। এগুলো সমাধানে দূতাবাস উদ্যোগ নিলে খুব সহজেই সমাধান করা সম্ভব। প্রবাসীদের সাথে খারাপ আচরণ করলে তারা কীভাবে প্রবাসে থাকবে। এমনিই তো প্রবাস জীবন খুব কঠিন জীবন। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, সন্তান ফেলে রেখে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমান। এরমধ্যে যদি সরকারের বিভিন্ন্ন সেক্টরে হয়রানী ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন অনেকে। এজন্য সবধরনের হয়রানী বন্ধ ও প্রবাসীদের সকল সমস্যা তড়িত সমাধানে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়ার পথে। ব্যাংকগুলো কতিপয় এমপি ও ব্যবসায়ী মিলে খালি করে দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির বিরদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে দেশ ভয়াবহ সংকেট পড়বে। প্রবাসীরা ঘাম জড়িয়ে দেশে টাাক পাঠায় আর সরকারের দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীরা বিদেশে টাকা পাচার করে বেগম পাড়া বানায়। এইতো তাদের দেশপ্রেম!