আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠল ম্যাচ। শুরুতে এগিয়ে গেল অস্ট্রিয়া। পোল্যান্ডও দিল পাল্টা জবাব। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের আক্রমণভাগের সেরা তারকা রবের্ত লেভানদোভস্কি আসরে প্রথম খেলতে নামলেন, কিন্তু পারলেন না দলকে পথ দেখাতে। পোলিশদের হারিয়ে শেষ ষোলোয় খেলার আশা ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখল অস্ট্রিয়া।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২১ জুন) ৩-১ গোলে জিতেছে অস্ট্রিয়া। ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরে এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা দলটি দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে আছে দ্বিতীয় স্থানে। টানা দুই হারে পোল্যান্ড আছে তলানিতে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে আসর শুরু করেছিল তারা।
চোটে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি স্ট্রাইকার লেভানদোভস্কি। এদিন তাকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান পোল্যান্ড কোচ মিখাল প্রবিয়েশ। কিসিসতফ পিয়ানতেকের কাঁধে তুলে দেন আক্রমণভাগের মূল দায়িত্ব।
শুরু থেকে পোল্যান্ডের রক্ষণে চাপ দিতে থেকে অস্ট্রিয়া। একের পর এক বক্সে ক্রস ফেলে ভীতি ছড়াতে থাকে দলটি। নবম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলও পেয়ে যায় তারা। বাম দিকের বাইলাইনের একটু ওপর থেকে ফিলিপ মোয়েনের বক্সে বাড়ানো ক্রসে লাফিয়ে হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন গিয়ানট। গোলটির পেছনে কিছুটা দায় আছে পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনির। বলের লাইনে থাকলেও দেরি করে হাত বাড়ানোয় তিনি পাননি নাগাল।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
১৯তম মিনিটে সতীর্থের আড়াআড়ি পাস থেকে বক্সে ভালো জায়গায় বল পেয়েছিলেন নিকোলা জেলেভস্কি। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে উড়িয়ে মারেন তিনি, নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন এই পোলিশ মিডফিল্ডার। পাল্টা জবাব দিতে মরিয়া হয়ে ওঠা পোল্যান্ডের তাঁবুতে সমতার স্বস্তি ফেরে ৩০তম মিনিটে। ডিফেন্ডাররা কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে যান পিয়ানতেক। ডান পায়ের শটে ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের ঠিক ওপর থেকে পিওতর জেলেনেস্কির ফ্রি কিক এক হাতে আটকে অস্ট্রিয়াকে সমতায় রাখেন গোলরক্ষক পাত্রিক পেন্স।
৬০তম মিনিটে পিয়ানতেককে তুলে লেভানদোভস্কিকে নামান পোল্যান্ড কোচ। কিন্তু ছয় মিনিট পর ফের গোল হজম করে বসে তারা। সতীর্থের ছোট পাস ধরে চার পাশে থাকা ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়েই শট নেন ক্রিস্তোফ; স্ট্যাসনি দেন বিপরীতে দিকে লাফ, বল জড়ায় জালে। ৭৬তম মিনিটে পাত্রিক ভিমারের শট আটকানোর দুই মিনিট পর নিরুপায় হয়ে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন স্ট্যাসনি। পোল্যান্ডের রক্ষণ ভেদ করে বক্সে ঢুকে পড়েন মার্সেল সাবিৎজার। ওয়ান-অন-ওয়ান পজিশনে তাকে ফাউল করে কার্ডটি দেখেন স্ট্যাসনি। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মার্কো আরনাওতোভিচের সফল স্পট কিকে অস্ট্রিয়ার জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।