চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বটা তেমন ভালো কাটেনি ইংল্যান্ডের। তবে ফিল সল্টের ব্যাটিং তাণ্ডবে সুপার এইটের শুরুটা দারুণভাবেই করল তারা। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যটা জস বাটলাররা টপকে গেছে ৮ উইকেট আর ১৫ বল হাতে রেখেই। দলের হয়ে ৪৭ বলে ৫ ছক্কা ও ৭ চারে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন সল্ট।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে সুপার এইটের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সম্মিলিত অবদানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পাঁচ ব্যাটসম্যান ২০ রাণ পার করতে পারলেও কেউই ৪০ রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন জনসন চার্লস। এজন্য তিনি খেলে ফেলেন ৩৪ বল।
আগের ম্যাচের নায়ক পুরান এদিন ৩৬ রান করতে খেলেন ৩২ বল। ঝড়ো শুরুর আভাস দেওয়া ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ১৩ বলে ২৩ রান করে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পেশির টানে মাঠ ছেড়ে যান। পরে আর ফিল্ডিংয়েও নামতে পারেননি। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে তাকে পাওয়া নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
শেষ দিকে রভম্যান পাওয়েল ৫ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৬ ও শেরফেইন রাদারফোর্ড ১৭ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৮০ পর্যন্ত পৌঁছায় স্বাগতিকরা। যা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি।
রান তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার সল্ট ও বাটলার। তৃতীয় ওভারে আকিল হোসেনের বলে অবশ্য ভাঙতে পারত জুটি। উইকেটের পেছনে সল্টের ক্যাচ নিতে পারেননি নিকোলাস পুরান।
বেঁচে যাওয়ার পর বোলারদের তুলাধুনা করে ছাড়েন সল্ট। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান করে ইংল্যান্ড। মাত্র ১৩ ইনিংসে সল্ট ও বাটলারের সপ্তম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি এটি।
যে কোনো উইকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটির রেকর্ড এটি। এছাড়া বাটলার ও জেসন রয় ৩২ ইনিংসে ৭টি এবং বাটলার ও দাভিদ মালান ১৯ ইনিংসে সাতবার পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি গড়েন। অষ্টম ওভারে রোস্টন চেইসের লো ফুলটস ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হন ২২ বলে ২৫ রান করা বাটলার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মইন আলি। আন্দ্রে রাসেলের বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি সল্ট ও জনি বেয়ারস্টো। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ৪৪ বলে ৯৭ রান। ঝড়ের শুরুটা করেন বেয়ারস্টোই। সল্ট ৪২ রানে থাকা অবস্থায় ক্রিজে যান বেয়ারস্টো। একের পর এক বাউন্ডারিতে সল্টকে ৪৯ রানে রেখেই বেয়ারস্টো পৌঁছে যান ২১ বলে ৪৬ রানে। এরপর শেফার্ডের এক ওভার থেকেই আসে ৩০ রান। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারের সবচেয়ে খরুচে ওভার করে সমীকরণ ২৪ বলে নেমে আসে ১০ রানে। বাকি কাজ সারতে কোনো সমস্যাই হয়নি সল্ট ও বেয়ারস্টোর।