নড়াইলে ইজিবাইক কেনার প্রলোভনে পলাশ মোল্যাকে (২৫) অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামীকে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও জেলা দায়রা জজ আলমাচ হোসেন মৃধা এই আদেশ দেন। ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন,লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউপির মাকড়াইল গ্রামের মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা,জয়পুর ইউপির মরিচপাশা গ্রামের মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া এবং নোওয়াগ্রাম ইউপির আড়পাড়া গ্রামের আকুব্বার শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার।
এর মধ্যে রায় ঘোষণার সময় জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামী আনারুল মোল্যা ও নাজমুল সিকদার পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ জুন সকালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা (২৫) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় পাশ্ববর্তী গ্রামের আনারুল মোল্যা, জিনারুল ইসলাম এবং নাজমুল শিকদার। তারা চল্লিশ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যাকে অপহরণ করে। পুলিশ ২০১৮ সালে ২৬ জুন মাগুরা জেলার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর এর পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে এবং ছবি দেখে তার লাশ সনাক্ত করে।
এ ঘটনায় পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী লোহাগড়া থানায় প্রথমে হারানোর জিডি এবং পরে অপহরণ করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আদালত এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া উপস্থিত ছিলেন। অপর দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামী আনারুল মোল্যা ও নাজমুল সিকদার ইতিপূর্বে জামিনে থেকে পলাতক রয়েছে।
নড়াইলের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক আসামীদের গ্রেফতার পরবর্তী আদালতের রায় কার্যকর হবে, উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে।