![](https://worldglobal24.com/wp-content/uploads/2024/06/wg-news-13-9-880x528.webp)
ফেনী সদর উপজেলা লেমুয়ার রিক্সা শ্রমিক সমিতির সভাপতি মনজুর আলমের (৩২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। সোমবার রাতে ফাজিলপুর এলাকার সুদার পুকুর এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। নিহত মনজুর আলম মধ্যম মাস্টার পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় মনজুর আলম রিক্সা চালিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষে লেমুয়া বাজারে জাম বিক্রি করেন। এসময়ে তার মোবাইলে ভাড়ার জন্য কল আসলে সে অটোরিকশা নিয়ে ফাজিলপুরে যায়। তার পর থেকে পরিবারের সাথে আর যোগাযোগ হয়নি। রাত দশটার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী রাস্তায় পাশে অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসলে গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ কে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তার মূত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। মনজুর আলম পেশায় অটোরিকশা চালক ও দুই সন্তানের জনক।
তার পরিবারের অভিযোগ তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকরে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ফেনী সদর থানাধীন বোগদাদিয়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় দিকে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বোগদাদিয়া ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর সুদের পাড় এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে লস্করহাট-ফাজিলপুর সড়কের পাশে একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের(পিবিআই) সহযোগিতায় আঙুলের ছাপ নিয়ে পুলিশ লাশের পরিচয় জানতে পারে। এরপর নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ পরিদর্শক জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের সময় ওই স্থান থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কারা, কী কারণে মনজুরকে হত্যা করেছে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।