ধর্ষণ মামলায় মামুনের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

বান্ধবী লায়লার ধর্ষণ মামলায় মামুনের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

বান্ধবী লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে করে রিমান্ড আবেদন করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। আজই রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এর আগে সোমবার (১০ জুন) রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বলে জানান দাউদকান্দি থানার এএসআই মো. রিপন মিয়া।  এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাজ্জাদ ইবনে রায়হান বলেন, ‌‘ধর্ষণের অভিযোগে মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা হয়েছে। কুমিল্লা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়েছে।’

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন

এর আগে গত রবিবার (৯ জুন) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আক্তার ফারহাদ একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে লায়লা অভিযোগ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লায়লার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন।

আরো পড়ুন:  ধর্ষণ মামলায় ‘টিকটকার’ প্রিন্স মামুন গ্রেফতার

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ‌‘২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন।

আরো পড়ুন:  ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার প্রিন্স মামুন, যা বলছে পুলিশ

অভিযোগে আরো বলা হয়, ‘মামুন আমার বাসায় থাকার সময় তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এ বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবারও ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের বিষয়ে তাকে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।’

শেয়ার করুন:

Recommended For You