মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত ৪ দিন মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। যা অব্যহত থাকতে পারে আরো অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
একদিকে তাপপ্রবাহ অন্য দিকে বিদ্যুতের লো ভোন্টেজ আর লোড শেডিং এ ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্ত স্বস্তি মিলছে না। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সকাল থেকেই থাকছে প্রখর রোদের তাপ, ভ্যাপসা গরম। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। রোদের তীব্র তাপে মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় এমন তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে শরীরে ঘাম হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত ৭ জুন শুক্রবার থেকে চলতি মাসে মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
গত ৭ জুন শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। শুক্রবার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৪৯ শতাংশ। ৮ জুন শনিবার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। ৯ জুন রবিবার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। সবশেষ আজ ১০ জুন সোমবার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার চলমান তাপপ্রবাহ আরও ৩ থেকে ৪ দিন অব্যহত থাকতে পারে।