
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় থানায় ভাঙচুর করা হয়। এতে পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও থানা ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। রবিবার বিকাল ৩টার দিকে শৈলকুপা থানায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে আনুমানিক ২৫ জন হামলাকারী আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন হাসানুজ্জামান, সাত্তার শিকদার, সাইফুদ্দীন, সোনা মিয়া, জালাল উদ্দীন, আব্দুল ওহাব, ইমরান, ফারুক হোসেন, তুহিন, নাফিজ, সালামত, ইমন, এস এম রিয়াজুল, মুইম, জান্নাত হোসেন, আসাদুজ্জামান, ইমন শিকদার, ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, বায়োজিদ হোসেন. আজগার মন্ডল ও হারুন শিকদার। তাদের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলায়। অভিযুক্ত মোস্তাক শিকদার ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মৃত আব্দুস সাত্তার শিকদারের ছেলে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া জানান, এজাহার নামীয় আসামি মোস্তাক শিকদারকে রবিবার দুপুরে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরপরই আসামির পক্ষে কয়েক’শ উশৃংখল জনতা তাকে ছাড়িয়ে নিতে জোটবদ্ধ ভাবে থানায় হামলা চালায়। এ সময় তারা থানার প্রধান ফটক খুলে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিজেদের জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় বাধ্য হয়ে শর্টগানের গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশ কত রাউন্ড গুলি ছুড়েছে তা তাৎক্ষনিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।